মঙ্গলবার, ১৩ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


আরপিও সংশোধনে ইসির সঙ্গে একমত আইন মন্ত্রণালয় : আনিছুর


প্রকাশিত:
২০ মার্চ ২০২৩ ২২:৩৭

আপডেট:
১৩ মে ২০২৫ ২০:০৪

ছবি সংগৃহিত

নির্বাচনে ভোটের ফল প্রকাশের পর অনিয়ম প্রমাণিত হলে নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা চেয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রস্তাবে সায় জানিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। পরে এ প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছে তারা। সেখানে অনুমোদন পেলে জাতীয় সংসদের আগামী অধিবেশনে যাবে প্রস্তাবটি।

সোমবার (২০ মার্চ) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘একটু আগে আইন মন্ত্রণালয় থেকে সর্বশেষ অবস্থান জানতে পারলাম। এটা এখন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গেছে। আইনমন্ত্রী দেশের বাইরে আছেন, সম্ভবত তিনি ২৮ তারিখে ফিরবেন। এরপর হয়তো প্রস্তাবটি মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে উঠবে।

আমি তো মনে করি পরবর্তী অধিবেশনে এটি জাতীয় সংসদেও উঠতে পারে। আমরা যেরকম প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম, মোর অর লেস ওই রকমই আছে। আমাদের প্রস্তাবের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে আইন মন্ত্রণালয়।’

ভোটের ফল গেজেট আকারে প্রকাশ হয়ে গেলেও ভোট বাতিলের ক্ষমতা কী আপনারা পাচ্ছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখা যাক...প্রস্তাবটি সংসদে যাওয়ার আগে মন্ত্রিপরিষদ এটি অনুমোদন করবে।

আমরা যেটা দিয়েছি সেটা অনুমোদন হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। আরও কয়েকটা ধাপ বাকি আছে। কেননা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আরও উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা আছেন। কাজেই এই কথাগুলো বলার জন্য এখন উপযুক্ত সময় নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে এখন পর্যন্ত ১৮০টি আবেদন পাওয়া গেছে। বিভিন্ন দপ্তরে আরও দু-চারটি আবেদন থাকতে পারে। আবেদনগুলো আসনভিত্তিক বিন্যাস করা হবে। কোন আসনে কতটি আপত্তি পাওয়া গেছে সেগুলো নিয়ে সচিবালয় কাজ করবে।

আসনভিত্তিক ভাগ করলে বোঝা যাবে কোন আসনে কতটা আবেদন পড়েছে। এরপর কমিশনের প্লেস করবে। কমিশন তখন শুনানি করবে। কোন আসনে সীমানা পরিবর্তন করতে হবে আর কোনটার লাগবে না তা তখন নির্ধারণ হবে।’

আগামী সপ্তাহে শুনানি হবে কিনা জানতে চাইলে আনিছুর রহমান বলেন, ‘সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না। আগে আসনভিত্তিক বিন্যাস হোক তারপর। যারা বর্তমান সীমানা বহাল রাখার আবেদন করেছেন তাদের আবেদন তো আর আমলে নেওয়ার দরকার নেই।

যদি কেউ বিপক্ষে থাকে তখন শুনানির দরকার আছে। একই আসনে পক্ষে-বিপক্ষে এমন থাকতে পারে। কোনোটায় আবার নতুন কোনো আবেদন থাকতে পারে। এটি যখন বিন্যাস করা হবে তখনই বোঝা যাবে, কে কী চেয়েছে। এটি করতে একটু সময় লাগবে।’


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top