বুধবার, ১৪ই মে ২০২৫, ৩০শে বৈশাখ ১৪৩২

Shomoy News

Sopno


অপ্রত্যাশিত সংকট মোকাবিলায় অর্থায়নে সম্মতি অপরিহার্য


প্রকাশিত:
৪ এপ্রিল ২০২৩ ২১:৪৫

আপডেট:
১৪ মে ২০২৫ ০০:২৮

ছবি সংগৃহিত

অপ্রত্যাশিত সংকট মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রক্রিয়ার প্রতি অঙ্গীকার এবং সম্মতি অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার দুর্যোগ সহিষ্ণু অবকাঠামো সংক্রান্ত ৫ম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রচারিত একটি পর্বে ভিডিও বার্তায় প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে যেকোনো উদ্যোগে যোগ দিতে বাংলাদেশ প্রস্তুত। জলবায়ু অভিযোজন, প্রশমন এবং সহিষ্ণু অবকাঠামোর জন্য সমন্বিত বৈশ্বিক প্রচেষ্টা এবং দৃষ্টিভঙ্গি বিনিময় করা প্রয়োজন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অপ্রত্যাশিত সংকট মোকাবিলায় অর্থায়ন প্রক্রিয়ার প্রতি অঙ্গীকার এবং সম্মতি অপরিহার্য। আমাদের সকলের জন্য একটি টেকসই এবং প্রতিকূলতা সহিষ্ণু ভবিষ্যৎ গড়ে তোলার জন্য সরকার, আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক সংস্থা, বেসরকারি খাতগুলোর মধ্যে বৃহত্তর সংহতি প্রয়োজন। একই সঙ্গে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, উদ্ভাবন, স্থিতিস্থাপক রূপান্তরকে অন্তর্ভুক্ত করার মাধ্যমে আমাদের চিন্তাভাবনায় এ বিষয়ে পদ্ধতিগত পরিবর্তন আনতে হবে।

সরকারপ্রধান বলেন, বাংলাদেশ অনাকাঙ্ক্ষিত জলবায়ু বিপর্যয় ও দুর্যোগের মুখোমুখি হচ্ছে, যা আমাদের প্রতিষ্ঠান ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি করছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবং এই আঘাত ও চাপ সহিষ্ণু শক্তিশালী এবং ভৌত অবকাঠামো প্রয়োজন। সম্প্রতি তুরস্ক, সিরিয়া এবং আফগানিস্তানে বিশাল ভূমিকম্প, ক্যারিবিয়ান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় হারিকেন এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় বন্যার মতো সিরিজ বিপর্যয় প্রত্যক্ষ করেছে বিশ্ব। গত বছর আমরা বাংলাদেশে বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ একাধিক প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়েছি, যার ফলে বিপুল অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আমাদের বিনিয়োগকে রক্ষা করার জন্য ভবিষ্যতের সমস্ত অবকাঠামো নির্মাণ এবং সিস্টেমগুলোকে অবশ্যই দুর্যোগ সহিষ্ণু হতে হবে। বাংলাদেশ বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, ঝড়, খরা এবং বজ্রপাতের মতো ঘন ঘন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হয়।

‘আইপিসিসি রিপোর্ট-২০২২ ভবিষ্যদ্বাণী করেছে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ শতাব্দীর মাঝামাঝি এবং শেষের দিকে জিডিপির ২ থেকে ৯ শতাংশ ক্ষতির ঝুঁকিতে রয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় বাংলাদেশের পদক্ষেপ শুরু হয় ১৯৭৩ সালের জুলাই মাসে, যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি প্রণয়ন করেছিলেন। এ কর্মসূচির আওতায় বঙ্গবন্ধু উপকূলীয় এলাকায় এক হাজার ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করেছিলেন।
জনগণ এ কেন্দ্রগুলোকে ‘মুজিব কেল্লা’ বলে ডাকত। ১৯৭০ সালে, একটি প্রলয়ঙ্কারী জলোচ্ছ্বাস প্রতিকূলতা সহিষ্ণু অবকাঠামোর অভাবে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলে প্রায় ১০ লাখ মানুষের জীবন কেড়ে নিয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে আমাদের সরকার নিজস্ব সম্পদ দিয়ে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল প্রতিষ্ঠা করেছে। এ পর্যন্ত ৪৮ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে প্রায় ৮০০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।


সম্পর্কিত বিষয়:


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:




রিসোর্সফুল পল্টন সিটি (১১ তলা) ৫১-৫১/এ, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০।
মোবাইল: ০১৭১১-৯৫০৫৬২, ০১৯১২-১৬৩৮২২
ইমেইল : [email protected]; [email protected]
সম্পাদক : লিটন চৌধুরী

রংধনু মিডিয়া লিমিটেড এর একটি প্রতিষ্ঠান।

Developed with by
Top