রুটকে ফিরিয়ে ইমরান খানের পাশে কামিন্স
প্রকাশিত:
২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৩:৪২
আপডেট:
২০ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:০৪
অ্যাডিলেডের পিচে প্যাটি কামিন্স শুধু বল করেননি, ইতিহাসের পাতাও উল্টে দিয়েছেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড জো রুটকে আউট করার মুহূর্তটি ছিল আরেকটি উইকেটের চেয়েও বেশি কিছু। ওটাই ছিল এক অনন্য ক্লাবের দরজা খুলে যাওয়ার শব্দ। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে দেড়শ উইকেটের গণ্ডি পেরিয়ে কামিন্স এখন ইমরান খানের পাশে, যেখানে এতদিন একাই ছিলেন পাকিস্তানের সেই কিংবদন্তি অধিনায়ক।
এই সিরিজে কামিন্সের পথচলা মোটেও সহজ ছিল না। চোটের কারণে প্রথম দুই টেস্টে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। তবে অ্যাডিলেডে ফিরেই বোঝালেন, তিনি কেবল দলে জায়গা নেওয়ার জন্য নন, নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার জন্যই ফিরেছেন। প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট, এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের ব্যাটিং অর্ডারে পরিকল্পিত ধস। দ্বিতীয় ওভারেই বেন ডাকেটকে ফিরিয়ে ইনিংসের সুর বেঁধে দেন কামিন্স। এরপর অলিভার পোপ, আর শেষে জো রুট- যে উইকেটটি তাঁকে ইতিহাসের সঙ্গে বেঁধে দিল।
রুটকে ৩৯ রানে ফেরানোর মধ্য দিয়েই কামিন্স ছুঁয়ে ফেলেন ইমরান খানের মাইলফলক। টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে ১৫০+ উইকেট, ১৮৭ উইকেট নিয়ে যেখানে ইমরান এতদিন একাই ছিলেন, সেখানে এবার যুক্ত হলো অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের নাম। একই সঙ্গে এই ম্যাচেই আরেকটি ব্যক্তিগত অধ্যায় লিখেছেন কামিন্স। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় তিনি ছাড়িয়ে গেছেন মিচেল জনসনকে। ৩১৫ উইকেট নিয়ে কামিন্স এখন জনসনের (৩১৩) ওপরে।
তবে জো রুটের বিপক্ষে কামিন্সের আধিপত্যের গল্পটা আরও গভীর। এই আউটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে রুটকে সবচেয়ে বেশি বার আউট করার তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছেন তিনি। সব সংস্করণ মিলিয়ে ১৬ বার রুটের উইকেট নিয়েছেন কামিন্স, এর মধ্যে ১৩ বারই টেস্টে, মাত্র ২০ ম্যাচে। এতে তিনি ছাড়িয়ে গেছেন জসপ্রিত বুমরাকে, যিনি সব সংস্করণে রুটকে আউট করেছিলেন ১৫ বার, টেস্টে ১৭ ম্যাচে ১১ বার।
সব মিলিয়ে কামিন্সের এই পারফরম্যান্স কেবল সংখ্যার গল্প নয়। এটি নেতৃত্ব, ধারাবাহিকতা আর বড় মঞ্চে বড় ব্যাটসম্যানদের থামানোর ক্ষমতার স্বাক্ষর। অ্যাডিলেডে তাঁর প্রত্যাবর্তন তাই শুধু এক ম্যাচে ফেরার গল্প নয়, এটা একজন অধিনায়কের ইতিহাসে ঢুকে পড়ার ঘোষণা।
সম্পর্কিত বিষয়:



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: