‘পশুখাদ্যকে কোনোভাবেই মৎস্যখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না’
প্রকাশিত:
২৩ জুন ২০২৫ ১৭:৪৯
আপডেট:
২৩ জুন ২০২৫ ২১:৫৮

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে পশুখাদ্য ও মৎস্যখাদ্য প্রায় একাকার হয়ে যাচ্ছে। পশুখাদ্যকে কোনোভাবেই মৎস্যখাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না; তা আলাদা করে জাতীয় মৎস্য নীতিমালা-২০২৫ এ অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
আজ সোমবার (২৩ জুন) তুলা উন্নয়ন বোর্ডের সম্মেলন কক্ষে জাতীয় মৎস্য নীতিমালা-২০২৫ (খসড়া) বিষয়ক অংশীজন পরামর্শ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস করে চিংড়ি চাষ নয়, বরং পরিবেশবান্ধব উপায়ে কীভাবে ম্যানগ্রোভ সংরক্ষণ করে চিংড়ি চাষ করা যায়, তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, শুধু অবৈধ জাল ধ্বংস করলেই হবে না; জাল উৎপাদনের উপকরণ আমদানিতে নিষেধ করতে হবে।
প্রধান অতিথি বলেন, প্রাইভেট সেক্টরের উদ্যোগে অনেক সময় দেশে ক্ষতিকর বিদেশি প্রজাতির মাছ প্রবেশ করছে, যা পরিবেশ ও দেশীয় মাছের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এইসব মাছ একবার পরিবেশে প্রবেশ করলে রীতিমতো সবকিছু গিলে ফেলে। পরবর্তীতে এমন মাছ দেখা গেলে তা মেরে ফেলার নির্দেশনা আসে। অথচ শুরুতেই যদি এসব মাছ আমদানি নিরুৎসাহিত করা যেতো, তাহলে এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না।
বর্তমান প্রেক্ষাপটে মৎস্যজীবীদের সামাজিক সুরক্ষা আরও সুস্পষ্টভাবে নীতিমালায় অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে মৎস্য উপদেষ্টা বলেন, মাছের ধরন অনুযায়ী মৎস্যজীবীদের সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে তাদের জন্য উপযুক্ত সহায়তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় মৎস্যখাতকে কৃষির উপখাত মনে করা হয়। অথচ, কৃষিখাতের মতো বিদ্যুৎ ছাড়, ভর্তুকি বা সরকারি প্রণোদনার ক্ষেত্রে মৎস্যখাত অবহেলিত। জাতীয় মৎস্য নীতিমালায় এই ধরনের বৈষম্য দূর করে মৎস্যজীবীদের অধিকার ও প্রণোদনার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানাই।
মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. আবদুর রউফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)-এর বাংলাদেশ প্রতিনিধি জিয়াওকুন শি, মৎস্য অধিদফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, জাতীয় মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি, বাংলাদেশ ফিশ ফার্মাস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তৃতা প্রদান করেন এফএও’র ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. মো. আবুল হাসনাত, জাতীয় মৎস্য নীতিমালা-২০২৫ (খসড়া) উপস্থাপন করেন কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিসারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ এর প্রকল্প পরিচালক মো. সামছু উদ্দিন।
সম্পর্কিত বিষয়:
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: